আজ || মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান


নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কেশবপুরে ৪০ বছর শিক্ষার আলো ছড়ালেও চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বছরে প্রায় ৪ মাসই বিদ্যালয়টির খেলার মাঠসহ আংশিক ভবনে পানি থাকে। দীর্ষদিন উন্নয়ন মূলক কাজ না হওয়ায় বিদ্যালয়টি রয়েছে অবহেলিত।

চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৩ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়ে অবহেলিত এলাকার শিক্ষার্থীদের ভেতর শিক্ষার আলো বিস্তার করে চলেছে। শুভাষ চন্দ্র মন্ডল ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক। তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন কালেই মাধ্যমিকের সঙ্গে প্রাথমিক স্তর সম্পৃক্ত হয়। যার কারণে বিদ্যালয়টি এখন শিশু শ্রেণি হইতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করছে। সরেজমিন বিদ্যালয়ে গেলে জানাযায়, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২০ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৬০ জন। কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী ১৮ জন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসান সরদার এ প্রতিবেদককে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান যথেষ্ট ভালো। গতবছর সমাপনী পরীক্ষায় ২ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করে। চলতি বছর সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে ১৯ জন। এর মধ্যে ১৬ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী। চলতি বছর সমাপনীর ফলাফল খুব ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ২০০১ সালে তিনি দ্বায়ীত্বভার গ্রহণ করেন। দ্বায়ীত্বভার গ্রহণ করার আগে ১৯৮৬ সাল হতে বিদ্যালয়টি বন্যার কবলিত। সেই থেকে অদ্যাবধি জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়টি উপজেলার দুটি ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ায় মঙ্গলকোট ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। বিদ্যালয়টি বিল অববাহিকায় হওয়ায় এখনও খেলার মাঠের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলানো রয়েছে। বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তাটিও বর্ষার মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায়। সে সময় ছাত্র-ছাত্রীরা বহু কষ্টে ওই রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। ওই সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক মন্ডলীদের। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার ও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেও ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিন্টু সরকার বলেন, বিদ্যালয়টির লেখা-পড়ার মান সন্তোষজনক হলেও অবকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে থাকায় কোমলমোতি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সীমাহীন। সে কারণে বিদ্যালয়টির অবকাঠামো উন্নয়নে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার স্বার্থে চুয়াডাঙ্গা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন পাওয়ার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানানো হবে।


Top